Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪

জানা যাবে মৃত্যুর আগাম সংবাদ ! বদলে যেতে চলেছে মানুষের জীবনের সংজ্ঞা ।



বদলে যেতে চলেছে মানুষের জীবনের সংজ্ঞাজানা যাবে মৃত্যুর আগাম সংবাদ শুধু তাই নয়, রক্ত পরীক্ষাকে হাতিয়ার করে যেকোনো সংকটজনক রোগীকে মৃত্যুর গ্রাস থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভবএজন্য দরকার কয়েক ফোঁটা রক্ত আর চারটি রক্ত পরীক্ষাহয়তো সবাই অবাক হচ্ছেন অথবা ভাবছেন, এটা হলিউডের পরবর্তী কোনো সায়েন্স ফিকশন! সম্প্রতি ফিনল্যান্ড এবং এস্তোনিয়ার যৌথ গবেষক দল বলেছে, মাত্র চার ধরনের রক্ত পরীক্ষার ফলাফল থেকেই মিলবে সম্ভাব্য মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণীগবেষক দল পাঁচ বছর ধরে প্রায় বিশ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেগবেষণাপত্রটি 'পস ওয়ান' নামে জনপ্রিয় বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছেগবেষণার শুরুতে মোট ১৯ হাজার ৭২৮ জন পুরুষ এবং মহিলার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়উত্তর-পূর্ব ইউরোপের ছোট্ট দেশ এস্তোনিয়ার গবেষকরা মোট ৯ হাজার ৪৮২ জন নাগরিকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেনযাদের দেহ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ১০১ বছর পর্যন্তরক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তার ওপর নানাবিধ রাসায়নিক প্রয়োগে মোট ১০৬ ধরনের 'বায়োমার্কার' বা উপসর্গের উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়পরের পাঁচ বছরে নথিভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০৮ জন মারা যানএকইভাবে ফিনল্যান্ডের ৭ হাজার ৫০৮ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়এক্ষেত্রেও একই পরীক্ষা চালিয়ে ১০৬ ধরনের 'বায়োমার্কার' চিহ্নিত করা হয়পাঁচ বছরের মধ্যে মৃত্যু ঘটে ১৭৬ জনেররাসায়নিকগুলো শরীরে থাকলে একজন মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা কতটা সেটাই বিশেষ ফর্মুলার সাহায্যে হিসাব করে বের করে বিজ্ঞানীর দলপরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই একজনের মৃত্যু কতটা কাছে বা তার বিপদ কতটা তা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরাফিনল্যান্ডের গবেষকরাও আলাদাভাবে যাচাই করে একই ফলাফল পেয়েছেনশুধু তাই নয়, বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার সাহায্যে রোগীদের মৃত্যু কিছুদিনের জন্য ঠেকিয়ে রাখতেও সক্ষম হয়েছেন চিকিসকরাএকজন অসুস্থ মানুষ মৃত্যু থেকে কতটা দূরে তাও নিখুঁতভাবে জানা সম্ভব সেই চারটি পরীক্ষা থেকে

শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪

ভারতের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনর সুর



বাংলাদেশে আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে কংগ্রেসের আপত্তি থাকলেও বিজেপি চাইছে আগাম নির্বাচন হোকলন্ডনের বাংলা সাপ্তাহিক ঠিকানা বলছে আগামী দিনে দিল্লির মসনদের অধিকারী হতে যাচ্ছে বিজেপি, এটা অনেকটা নিশ্চিতআর বিজেপির প্রধান মোদিই হতে যাচ্ছেন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তিনি ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমর্থন এবং সিগন্যালও পেয়েছেনবিশ্বের ক্ষমতাধর শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও টেনে নিয়েছে মোদিকেইতার সঙ্গে সমঝোতাও করেছে সম্পর্ক উন্নয়ন, বাণিজ্যসহ বাংলাদেশের ব্যাপারে ঠিকানার অনলাইন সংস্কারে এ নিয়ে এক আংশিক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্র চায় সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনবিএনপির অংশগ্রহণে এই নির্বাচনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘবর্তমানে এসব শক্তি সেভাবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সহায়তা করছে নাবরং তারা এখনো আশাবাদী, বাংলাদেশে আগাম নির্বাচন করতে সক্ষম হবে তবে বিএনপি সেটা কতটুকু এগিয়ে নিতে পারবে, সে ব্যাপারে তারা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে নাকারণ সরকারের কৌশলের কাছে বিএনপি বারবার মার খাচ্ছে তবে ভারতের নির্বাচনের ফলাফল না দেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপ বা চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নেবে না বলেই মনে হচ্ছে শনিবার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এক অনুষ্ঠানে সরকারকে সময়মতো জবাব দেয়ার কথা বলেছেন৷ তিনি সবাইকে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন৷ তবে একই দিন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন খালেদা জিয়া না শোধরালে তাকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে৷ অর্থা বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলায় সরকারের চিন্তা ও প্রস্তুতিও রয়েছেযদিও দেখা যাচ্ছে মাঠের রাজনীতি আর মাঠে নেই, আছে হুমকি আর পাল্টা হুমকিতে৷ মাঠের রাজনীতি ঠাঁই পেয়েছে টেলিভিশনের টকশো আর মঞ্চ কিংবা বিবৃতিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে বর্তমান সরকার ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেছেএরপর যথাসময়ে নির্বাচন করার কথা বললেও ও পথে যাচ্ছে না সরকারসরকারের ইচ্ছা ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করারতবে পশ্চিমা দেশগুলো বলছে নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নিঅর্থা বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইছেন তারাতবে ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও এক তরফা একটি নির্বাচনের আয়োজন করার পরও সরকারের প্রতি দেশটি অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতে নির্বাচনের পর দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে আমূল কোনো পরিবর্তন না হলেও অন্তত গ্রহণযোগ্য একটি আগাম নির্বাচন চাইবে নতুন সরকার অবশ্য ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ বলেছেন, নির্বাচনের পর ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না শনিবার ঢাকায় শ্রমিক দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সরকারকে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ বেশি দেরি করলে, জুলুম-নির্যাতন বাড়ালে এর পরিণতির দায় সরকারকেই নিতে হবে৷ সময়মতো আন্দোলন ও সরকারের অত্যাচারের জবাব দেয়া হবে৷ সময়মতো আন্দোলনে যাবার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, যারা যাই মনে করুক, যখন মনে করব আন্দোলনের সময় হয়েছে, আমরা প্রস্তুত, তখন আন্দোলন করব৷ কারও কথায় আমরা চলি না৷ এদিকে, বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, খালেদা জিয়া এখনো শোধরাননি৷ বৈধ সরকারকে অবৈধ বলছেন৷ জঙ্গিবাদীদের সঙ্গও ত্যাগ করেননি৷ আপনি যদি এই পথ পরিহার না করেন তাহলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন৷ স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে সংলাপ ও সমঝোতা পথে সরকার কিংবা বিরোধীদল আগাচ্ছে নাসাধারণ মানুষের ভয় রাজনৈতিক সহিংসতায় তাদের প্রাণ ও সম্পদহানি হবেগণতন্ত্রের মানসকন্যা বা আপোষহীন নেত্রীরা দলের ভেতর যেমন গণতন্ত্র রাখেননি তেমনি আমজনতাকে এর স্বাদ থেকে বঞ্চিত করছেন

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৪

টি-টোয়েন্টির ফাইনালই ওদের কাল হয়ে দাড়ালো

শাহিদা আক্তার (১৫) ও আব্দুর রহিম (২২)। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাজিব বড় বাড়িতে ওদের বেড়ে ওঠা। ছোটবেলায় এরা দু’জনই বাবাকে হারিয়েছেন। প্রায় সব কাজেই দক্ষতা ছিল আব্দুর রহিমের। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গ্রামের ছেলেদের নিয়ে আনাচারী করাই যেন আব্দুর রহিমের কাজ।
অপরদিকে জীবিকার তাগিদে মাঝে কিছু দিন কুমিল্লায় ছিল শাহিদা। কুমিল্লা থেকে নিজের বাড়িতে এসে আব্দুর রহিমের সঙ্গে পরিচয় শাহিদার।
একদিন বন্ধুদের নিয়ে গ্রামে ঘুরতে বের হয়েছেন আব্দুর রহিম। এমন সময় আব্দুর রহিমের নজরে পড়ে শাহিদা আক্তার। এর পরে প্রেম। তিন মাস প্রেমের পর দুই পক্ষের জানাজানি। এর পরে চার মাসের মাথায় প্রেম থেকে পরিণয়।জীনটা সুন্দর মতো সাজাতে ঢাকায় এসেছেন মাত্র ১০ দিন আগে। দুই জনই নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর সংলগ্ন নবাব আব্দুল মালেক জুট মিলে নাইট শিফটে কাজ করেন।রোববার ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা। শাহিদা আক্তার রান্নার কাজ শেষ করে স্বামী আব্দুর রহিমকে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে বলেন। কিন্তু আব্দুর রহিম চান ফাইনাল খেলা দেখে একেবারে রাত ১০টায় নাইট শিফটে ডিউটি করতে।এই নিয়ে দুই জনের মধ্যে ঝগড়া। ফাইনাল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রহিম শাহিদাকে মারধর করেন। আর তাতেই স্বামীর ওপর রাগ করে শাহিদা আক্তার গল‍ায় ফাঁস দেয়। রোববার রাত সাড়ে ১১টার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক শাহিদা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।ময়নাতদন্তের জন্য শাহিদা আক্তারের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অপরদিকে আব্দুর রহিমেকে রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলে পুলিশ হেফাজতে।ননদ আতুয়ারা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ওড়না ফাঁস দিয়ে মারা গেছে শাহিদা। ওদের সংসারে কোনো ঝগড়া ছিল না। কিন্তু ক্রিকেট দেখা নিয়ে ওদের ঝগড়া হয়।শাহিদা ও আব্দুর রহিমের তিন মাসের সংসারে ঝগড়া হতো একে অন্যকে খেয়াল রাখাকে কেন্দ্র করে। দু’জনের মধ্যেই ছিলো গভীর ভালোবাসা। শাহিদা যদি দেরিতে খাবার খেতো অথবা দেরিতে গোসল করতো তবে আব্দুর রহিম ঝগড়া শুরু করতো।অপর দিকে আব্দুর রহিম যদি কোনো দিন ধূমপান করতো তবে শাহিদা নিজের শরীর ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করতো। এভাবে তিনবার নিজের শরীর রক্তাক্ত করেছে শাহিদা। মৃত্যুর আগেও স্বামীর প্রতি গভীর ভালোবাসা রেখে গেছে অভিমানী শাহিদা। কারণ স্বামী রাতে ডিউটি করে, খেলা না দেখে যদি ঘুমায় তবে ওর বিশ্রাম নেওয়া হবে এবং এতে তার রাতে ডিউটি করা সহজ হবে।ঢাকা মেডিকলে পুলিশ হেফাজত থেকে আব্দুর রহিমকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্য এসআই ফজলুর রহমান। আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন,  শাহিদা খেলা দেখা বাদ দিয়ে ঘুমাতে বলে। কিন্তু শেষ খেলা বলে আমি ঘুমাতে যাইনি। এতে করে রাগ করে আমার মোবাইলটা ভেঙে ফেলে শাহিদা। এর পরে আমি শাহিদাকে একটা চড় মারি। এর ফলে আমার স্ত্রী গলায় ফাঁস দেয়। ক্রিকেট খেলা দেখার জন্যই আমার স্ত্রীকে হারালাম।’তিনি বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে ‍অনেক ভালোবাসতো আমি সিগারেট খেলে ও নিজের শরীর ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলতো।

শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৪

কনের মুখের কবুল শুনতে বরের আড়াই ঘন্টা অপেক্ষা, অতঃপর.



ঢাকা : সকাল থেকেই চলছে উসবআত্মীয় স্বজনে উপচে পড়ছে বাড়িসাউন্ড বক্সে বাজছে রোমান্টিক গানছোট ছেলেমেয়ের ছুটাছুটি, চিকারে মুখরিত পুরো পাড়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উসবের আয়োজন
দুপুরে বরের গাড়িবহর এসে পৌঁছে কনের দুয়ারেপড়ে যায় হৈ চৈবাড়ির উঠোনে বিশাল প্যান্ডেলে বসেন বরযাত্রীরাচলে অ্যাপায়নএরপর দুই পক্ষের লোকজনের দুপুরের ভোজনপর্বও শেষ হয়
এর মধ্যে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে পড়ানোর কাজ শুরু করেন কাজীরেজিস্ট্রিসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তিনি এরপর ছেলে পক্ষের কাজ শেষে যান মেয়ে পক্ষের কাছেকিন্তু একি! কনে তো কোনো কথাই বলছে নাতার কণ্ঠে কবুল উচ্চারণ শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সবাইকিন্তু না কাজীর শত অনুরোধ আর বাড়ির লোকের শত চাপাচাপিতেও কোনো কাজ হচ্ছে নাএভাবে কেটে যায় আড়াই ঘণ্টা
বাড়ির লোকজনের মধ্যে সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকেচলতে থাকে নানা কানাঘুষাএক সময় বেরিয়ে আসে আসল তথ্য কনে লিপি আকতার (১৯) মন দিয়ে বসে আছেন অন্য এক তরুণকেতার সেই মন আর কবুলে ফেরানো যাচ্ছে নাঅবশেষে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় বর মিন্নত আলীর (২৩) ভেঙে যায় বিয়েবর মাথা নিচু করে বেরিয়ে যান কনের বাড়ি থেকেমাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন কনের বাবা মা
শুক্রবার দুপুরে আড়াইহাজারের বিশনন্দী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেএলাকার লোকজনের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে বিয়ে ভাঙার এ কথা
বিয়ে পড়াতে ব্যর্থ হয়ে খালি হাতে ফেরা কাজী বলেন, পূর্বপাড়া এলাকার ইসমাইল মিয়ার মেয়ে লিপি আকতারের সঙ্গে একই ইউনিয়নের তেতিয়াগ্রামের এলাহী মিয়ার ছেলে মিন্নত আলীর বিয়ে ঠিক হয় শুক্রবার দুপুরেবিয়ের সব আয়োজনও করা হয় আগে থেকেইআপ্যায়ন, ভোজন পর্ব শেষে দুই পক্ষের সম্মতিতে শুরু হয় বিয়ে পড়ানো
কাজী বলেন, ছেলে পক্ষের কাজ শেষে কনের কাছে যাওয়ার পরেই দেখা দেয় বিপত্তিকনে কবুলপড়তে রাজি নয়আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পরও তার মুখ দিয়ে কবুল বলানো যায়নিপরে জানা গেছে, অন্য এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কএ কারণেই বিয়েতে রাজি নয়পরে বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০১৪

মোবাইল পানিতে পড়ে গেলে ঝটপট পাঁচটি কাজ করবেন



মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করতে গিয়ে পানিতে ভিজিয়ে অনেকেই নষ্ট করে ফেলেন কিন্তু পানিতে ভেজার সঙ্গে সঙ্গে যদি কয়েকটি কাজ করা যায় তাহলে ফোনটি নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচানো যায়এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে পাঁচটি টিপস প্রকাশ করেছে সিনেট
১. সময় নষ্ট না করেই ফোনটি বন্ধ করে দিনপানিতে ভেজার কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে এ কাজটি করতে পারলে ভালো হয় এর মূল লক্ষ্য হলো এর সার্কিট বোর্ড থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া নাহলে এতে শর্ট-সার্কিট হয়ে ফোনটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে
২. ফোনটির বাইরের অংশ একটি কাপড় দিয়ে মুছে দিনফোনের ভেতরের ব্যাটারি, সিম কার্ড ও মেমোরি কার্ড বের করে শুকনো কাপড়ে মুছে ফেলুন
৩. ফোনটির সবগুলো অংশ একটি বদ্ধ ব্যাগ বা কৌটার ভেতরে ভরে তাতে সিলিকা জেল রাখুনসিলিকা জেল এমন একটি পদার্থ, যা পানি শোষণ করে নেয়এগুলো নতুন জুতো ও ব্যাগের মতো জিনিসের ভেতর থাকে
৪. ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন সময় ফোন অন করবেন নাএটা সবচেয়ে কঠিন কাজ হতে পারেকিন্তু আপনার সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা বা অন্য কোনো কাজ করার আগে ফোনটি বাঁচানো বেশি জরুরি
৫. তিনদিন পর আপনার ফোনটি অন করার আগে আপনি যদি সবগুলো কাজ ঠিকঠাক করে থাকেন, তাহলে এর কার্যকারিতা অক্ষুন্ন থাকবে
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়
আপনার ভেজা মোবাইল ফোনটি ঠিক রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি কতো তাড়াতাড়ি একে পানি থেকে উদ্ধার করে সুইচ অফ করতে পারলেনআপনার ফোনের সার্কিট বোর্ডে পানি ঢুকলে সেখানে শর্ট-সার্কিট হতে পারেআর পানি ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট না হলেও ফোনটি পরে নষ্ট হতে পারেএ কারণে ফোনটি ঠিকভাবে যত্ন করে শুকিয়ে নেওয়া প্রয়োজন

প্রত্যেক ফোনের ভেতরেই ওয়াটার ইন্ডিকেটর থাকেএতে পানি ঢুকলে তার রং পরিবর্তিত হয় এবং ওয়ার‌্যান্টি শেষ হয়ে যায়তাই সঠিক উপায়ে ফোনটি পানি থেকে রক্ষা করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ

আলোচিত অভিনেত্রী প্রভার টার্গেট এবার অনন্ত!



আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী একসময়ের জনপ্রিয় টিভি অভিনত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা অনেকদিন ধরেই অনেকটা পর্দার আড়ালে ছিলেনঅভিনয় থেকে দুরে সরে ব্যস্ত ছিলেন স্বামী-সংসার নিয়েকিন্তু বেশিদিন আর আড়ালে থাকতে পারলেন না তিনি আবারও আলোচনায় এসেছেন বিতর্কীত এই অভিনেত্রীক্যারিয়ারের শুরুতেই নগ্ন ভিডিও প্রকাশ পেলে সর্বত্র ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রভাএবার আরেকটি নগ্ন ভিডিও দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনিসাদিয়া জাহান প্রভা অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসতে চাচ্ছেনএক প্রযোজকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা নানা মুখে শোনা গেলেও বড় পর্দায় অভিনয়ে আসছেন বিধায় সেটি চাপা পড়ে গেছেজানা যায়, ছোট পর্দার অভিনেতা ও প্রযোজকদের ছাপিয়ে প্রভা এখন দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন এম এ জলিল অনন্তরবড় পর্দায় অভিনয়ের আকাঙ্ক্ষা থেকে টার্গেট করেছেন অনন্তকেচলচ্ছিত্র জগতের একটি শীর্ষস্থানীয় সুত্র জানিয়েছে, শাকিব খানের সাথে অভিনয় করার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে প্রভারকিন্তু অনন্তই নাকি সে সুযোগটা বেশি করে দিতে পারেন কারণে প্রভা এখন অনন্তর দিকে ছুটে চলছেনপ্রভার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, প্রভা ইতিমধ্যে অনন্তর সাথে কথাও বলেছেনঅনন্তও প্রভাব ইচ্ছা বাস্তবায়নের যথাসাধ্য সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেনতবে সবকিছু নির্ভর করবে বর্ষার ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপরএ কারণে অনন্ত বর্ষাকে গুড হিউমারে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রভাকে

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

চাকুরি খুজছেন ? 
সকল ধরনের চাকুরির খবর পেতে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন
http://www.azadijobs.com/JobsByCat.php?cid=18http://www.azadijobs.com/JobsByCat.php?cid=18

স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা যাচ্ছে না



সরকার দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছেন। এটা স্বীকার করতে হবে এক্ষেত্রে সরকার যথেষ্ট সফলতাও দেখিয়েছে। সরকার একটা আধুনিক শিক্ষানীতি জাতিকে দিয়েছে। যদিও নানা পিছুটানে শিক্ষানীতির বাস্তবিক প্রয়োগ জন আকাঙক্ষা পূরণ করতে পারেনি। সরকারও এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল। বিদ্যমান সামাজিক বাস্তবতা এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বাজেট ও বরাদ্দ না পাওয়ায় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছে।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নানা জটিলতা ও সমস্যার মধ্যে আছে। এই জটিলতা ও সমস্যার উত্তরণের প্রচেষ্টা আছে কিন্তু কখন পূর্ণ সফলতা আসবে তা কারোর পক্ষে বলা সম্ভব নয়। হয়তো এমনো আস্থা আসতে পারে বর্তমানে সরকারি প্রচেষ্টায় যে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সামনের দিকে জাতিকে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে কোনো রাজনৈতিক গোলযোগে সেটাও থমকে পড়তে পারে। সেটা অবশ্য আগামী দিনের বিষয়। আমরা চাইবো জাতিকে যেন মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে না হয়।
দেশের শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে সরকারি উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা কেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেটা নিয়ে সরকারি মহল কি ভাবছে? তাদের গবেষণায় সমস্যার সূত্র কি খুঁজে পাওয়া গেছে। সরকার শতভাগ শিশুকে স্কুলে নিতে চান। কোনো ক্লাসে বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ঝরে পড়া কমাতে চান। সরকার কি এক্ষেত্রে সফল হতে পেরেছেন।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ হচ্ছে না। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রায় সব স্তরেই শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে। সরকার ঝরে পড়া রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে, নিচ্ছেন। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ও করছে কিন্তু কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না মাঝপথে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া নানা কারণে হচ্ছে। শিক্ষাজীবন শেষ করতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থীর জীবনে হতাশা নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে সৃষ্টি পারিবারিক নানা সমস্যা। শিক্ষার্থীদের কিভাবে এই সমস্যা থেকে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে সরকারি মহল নিশ্চয়ই ভাবিত। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞগণ সরকারকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ঢেলে সাজানোটি কি তা বিশেষজ্ঞদের পরিষ্কার করে বলতে হবে। এই নিয়ে গবেষণাপত্র তৈরি করে সরকারের ত্রুটি কোথায় সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সরকারকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিতে পারেন। সরকারকেও নিজস্ব মূল্যায়নে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা এটা একটা জাতীয় সমস্যা। তাই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের আদর্শ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যপথের সহমত পোষণকারীদের অভিজ্ঞতা ও অভিমত কাজে লাগাতে হবে তেমনি বিপক্ষদের অভিমতগুলোও পর্যালোচনায় রাখতে হবে। কোন ব্যক্তি যতই প্রাজ্ঞবান হোক না কেন তারও সব অভিমত সঠিক হতে পারে না।
পত্রিকার সূত্রে জানা যায় অন্য এক পরিসংখ্যানে বেরিয়ে এসেছে যে গত ১২ বছরে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীই ঝরে পড়ছে। এর মধ্যে ১৪ ভাগ প্রথম পাঁচ বছরে বা পঞ্চম শ্রেণি এবং ২৬ ভাগ পরের পাঁচ বছর বা দশম শ্রেণি পর্যন্ত ঝরে পড়ছে। বাকিরা ঝরে পড়ছে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে। অথচ সরকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা ও ধরে রাখার জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আসছে। সরকার বিনামূল্যে বই দিচ্ছে, উপবৃত্তি প্রদান করছে তবুও ঝরে পড়া ঠেকানো যাচ্ছে না।
জানা যায় প্রতি বছর প্রাথমিক স্তরে ৭০ লাখ, মাধ্যমিক স্তরে ৪০ লাখ এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত এক লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত প্রতিবেদনে বলা হয় প্রাথমিক স্তরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শতকরা ৩০ থেকে ৪০ জন উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি পেরুতে পারছে।
দেশের মোট শ্রমশক্তির ৮৮ শতাংশই কাজ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে, যাদের একটি বড় অংশ জেএসসি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী। সাধারণত দারিদ্রকেই ঝরে পড়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া মেয়ে শিশুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ।

চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সংঘর্ষে কলেজ অধ্যক্ষসহ আহত ৫