Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

চাকুরি খুজছেন ? 
সকল ধরনের চাকুরির খবর পেতে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন
http://www.azadijobs.com/JobsByCat.php?cid=18http://www.azadijobs.com/JobsByCat.php?cid=18

স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা যাচ্ছে না



সরকার দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছেন। এটা স্বীকার করতে হবে এক্ষেত্রে সরকার যথেষ্ট সফলতাও দেখিয়েছে। সরকার একটা আধুনিক শিক্ষানীতি জাতিকে দিয়েছে। যদিও নানা পিছুটানে শিক্ষানীতির বাস্তবিক প্রয়োগ জন আকাঙক্ষা পূরণ করতে পারেনি। সরকারও এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল। বিদ্যমান সামাজিক বাস্তবতা এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বাজেট ও বরাদ্দ না পাওয়ায় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছে।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নানা জটিলতা ও সমস্যার মধ্যে আছে। এই জটিলতা ও সমস্যার উত্তরণের প্রচেষ্টা আছে কিন্তু কখন পূর্ণ সফলতা আসবে তা কারোর পক্ষে বলা সম্ভব নয়। হয়তো এমনো আস্থা আসতে পারে বর্তমানে সরকারি প্রচেষ্টায় যে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সামনের দিকে জাতিকে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে কোনো রাজনৈতিক গোলযোগে সেটাও থমকে পড়তে পারে। সেটা অবশ্য আগামী দিনের বিষয়। আমরা চাইবো জাতিকে যেন মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে না হয়।
দেশের শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে সরকারি উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা কেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেটা নিয়ে সরকারি মহল কি ভাবছে? তাদের গবেষণায় সমস্যার সূত্র কি খুঁজে পাওয়া গেছে। সরকার শতভাগ শিশুকে স্কুলে নিতে চান। কোনো ক্লাসে বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ঝরে পড়া কমাতে চান। সরকার কি এক্ষেত্রে সফল হতে পেরেছেন।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ হচ্ছে না। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রায় সব স্তরেই শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে। সরকার ঝরে পড়া রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে, নিচ্ছেন। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ও করছে কিন্তু কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না মাঝপথে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া নানা কারণে হচ্ছে। শিক্ষাজীবন শেষ করতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থীর জীবনে হতাশা নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে সৃষ্টি পারিবারিক নানা সমস্যা। শিক্ষার্থীদের কিভাবে এই সমস্যা থেকে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে সরকারি মহল নিশ্চয়ই ভাবিত। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞগণ সরকারকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ঢেলে সাজানোটি কি তা বিশেষজ্ঞদের পরিষ্কার করে বলতে হবে। এই নিয়ে গবেষণাপত্র তৈরি করে সরকারের ত্রুটি কোথায় সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সরকারকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিতে পারেন। সরকারকেও নিজস্ব মূল্যায়নে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা এটা একটা জাতীয় সমস্যা। তাই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের আদর্শ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যপথের সহমত পোষণকারীদের অভিজ্ঞতা ও অভিমত কাজে লাগাতে হবে তেমনি বিপক্ষদের অভিমতগুলোও পর্যালোচনায় রাখতে হবে। কোন ব্যক্তি যতই প্রাজ্ঞবান হোক না কেন তারও সব অভিমত সঠিক হতে পারে না।
পত্রিকার সূত্রে জানা যায় অন্য এক পরিসংখ্যানে বেরিয়ে এসেছে যে গত ১২ বছরে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীই ঝরে পড়ছে। এর মধ্যে ১৪ ভাগ প্রথম পাঁচ বছরে বা পঞ্চম শ্রেণি এবং ২৬ ভাগ পরের পাঁচ বছর বা দশম শ্রেণি পর্যন্ত ঝরে পড়ছে। বাকিরা ঝরে পড়ছে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে। অথচ সরকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা ও ধরে রাখার জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আসছে। সরকার বিনামূল্যে বই দিচ্ছে, উপবৃত্তি প্রদান করছে তবুও ঝরে পড়া ঠেকানো যাচ্ছে না।
জানা যায় প্রতি বছর প্রাথমিক স্তরে ৭০ লাখ, মাধ্যমিক স্তরে ৪০ লাখ এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত এক লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত প্রতিবেদনে বলা হয় প্রাথমিক স্তরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শতকরা ৩০ থেকে ৪০ জন উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি পেরুতে পারছে।
দেশের মোট শ্রমশক্তির ৮৮ শতাংশই কাজ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে, যাদের একটি বড় অংশ জেএসসি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী। সাধারণত দারিদ্রকেই ঝরে পড়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া মেয়ে শিশুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ।

চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সংঘর্ষে কলেজ অধ্যক্ষসহ আহত ৫